যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কে চ্যালেঞ্জের মুখে রপ্তানি বাণিজ্য: সেলিম রায়হান
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ১১:৪২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীতে প্রথম আলো আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন। আলোচনায় অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা অংশ নেন।
ড. রায়হান বলেন, বাংলাদেশের দর–কষাকষির সক্ষমতা খুবই সীমিত। শুল্কসংক্রান্ত আলোচনায় আমাদের প্রস্তুতি ও কৌশল দুর্বল, যা ভবিষ্যতে অর্থনীতির জন্য ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন এক ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে রয়েছে, যেখানে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এই বাস্তবতায় প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো (যেমন মালয়েশিয়া) জটিল বাণিজ্য ইস্যুতে অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। অথচ বাংলাদেশ এখনো অনেকটাই সীমাবদ্ধতায় ভুগছে।
তিনি বলেন, ‘ডব্লিউটিও (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ এখন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত বাণিজ্যনীতি নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাতগুলোর—বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য—প্রতি ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাবকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের শুল্ক চাপ শুধু রপ্তানি নয়, বরং কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও শিল্প খাতের স্থিতিশীলতার জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
ড. রায়হান বলেন, এখনই সময় পণ্য ও খাতভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক এবং কৌশলগত প্রস্তুতি নেওয়ার। শুধু ডব্লিউটিও-নির্ভরতা বাদ দিয়ে দ্বিপক্ষীয় দর–কষাকষিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে।
আমার বার্তা/জেএইচ