বেনাপোলে বন্দরে রেলপথে আমদানি কমেছে
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

২০২৪-২৫ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় বেনাপোল বন্দরে রেলপথে আমদানি কমেছে ২৯ হাজার মেট্রিক টন। ৫ আগস্টের পর বাণিজ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা আর রেলের দুর্বল অবকাঠামোকে এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে।
বেনাপোলে রেলপথে আমদানি কমেছে।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় একমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়েই ভারতের সঙ্গে রেল ও সড়কপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে ৫ আগস্টের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার পর ভারত সরকার একের পর এক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে অনেক আমদানিকারক তাদের পণ্য আমদানি করতে পারছেন না।
এদিকে, রেলে রফতানি পণ্য পরিবহনের নির্দেশনা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা চালু হয়নি। রেলস্টেশনে এখনো কোনো ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়নি। নানা প্রতিবন্ধকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত থেকে মাত্র ১ হাজার ২৯৬টি ওয়াগনে ১২ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলে আমদানি পণ্যের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার মেট্রিক টন।
তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ কমেছে ২৯ হাজার মেট্রিক টন। সংকট কাটিয়ে বাণিজ্য পরিস্থিতির উন্নয়নে দুই দেশের সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, রেলের দুর্বল অবকাঠামোর কারণে পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে। পণ্য খালাসের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো ইয়ার্ড রেলস্টেশনে নির্মিত হয়নি।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বর্তমানে ভারত থেকে সুতা, গুঁড়ো দুধ, প্রিন্ট পেপার, পেপার বোর্ড ও তামাক আমদানি বন্ধ রয়েছে। রফতানি বন্ধ রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, কাঠের তৈরি আসবাবপত্র ও ফল।
দুই বছর আগে রেলে পণ্য রফতানির অনুমতি হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। রেলে রফতানি বাণিজ্য চালু করতে পারলে পণ্য পরিবহনে খরচ আরও সাশ্রয়ী হবে। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাণিজ্য কমে গেছে। দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য রেলস্টেশনে কার্গো ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আমার বার্তা/এল/এমই