বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ শুরু চীনের
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে চীন। যা ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ইয়ারলুং সাংপো নদীতে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরুর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
এই নদীটি তিব্বতীয় মালভূমির পাশাপাশি দক্ষিণ এশীয় বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীর তীরে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ ভারতীয় এবং বাংলাদেশী, সেইসাথে আশেপাশের পরিবেশ এবং স্থানীয় তিব্বতিদের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য প্রকল্পটি সমালোচনার মুখে পড়ে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে, বেইজিং বলেছে যে, এটি নির্মাণ করার সময় পরিবেশগত সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাঁধটি সম্পন্ন হলে বিশ্বের বৃহত্তম হিসেবে থ্রি জর্জেস বাঁধকে ছাড়িয়ে যাবে এবং তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।
১২ বিলিয়ন ইউয়ান (১.৬৭ বিলিয়ন ডলার; ১.২৫ বিলিয়ন পাউন্ড) মূল্যের এই প্রকল্প যা মোটুও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নামেও পরিচিত।
বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, নতুন বাঁধটি চীনকে সীমান্তবর্তী ইয়ারলুং সাংপো নদী নিয়ন্ত্রণ বা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার ক্ষমতা দেবে।
যা দক্ষিণে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আসাম রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রবাহিত হয় এবং ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লোই ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে (তিব্বত মালভূমিতে) এই নদীগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ কার্যকরভাবে চীনকে ভারতের অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করবে।’
এই মাসের শুরুতে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে বাঁধটি সম্পন্ন হওয়ার পরে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্র অনেক বেশি শুকিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশও এই প্রকল্প সম্পর্কে চীনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারিতে বেইজিংকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বাঁধ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য অনুরোধ করেছিল।
অন্যদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে ভারতকে জবাব দিয়ে বলেছিল যে, নদীতে বাঁধ দেয়ার ‘বৈধ অধিকার’ চীনের রয়েছে এবং তারা ভাটির দিকের প্রভাব বিবেচনা করেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই