বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন দলটির সমর্থক ও নেতাকর্মীরা। শনিবার (১৯ মে) সকালেও দলে দলে মানুষ আসছে সমাবেশে। পাশাপাশি সমাবেশ ঘিরে ট্রাফিক ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন জামায়াতের কর্মীরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। ফলে এই এলাকায় বড় কোনও গাড়ি প্রবেশ করছে না। পাশাপাশি শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেও যানচলাচল সীমিত করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ছাড়া কোনও ধরনের গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে শাহবাগ থেকে কিছু গাড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে প্রবেশ করলেও সেগুলো শুধু ঢাকা মেডিক্যাল রোড হয়ে বের হতে পারছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টিএসসি থেকে কার্জন বা হাইকোর্ট অভিমুখী রোডটি। এগুলো নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে শৃঙ্খলা কমিটির ৮ হাজার নেতাকর্মী।
শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ আমানুল্লাহ বলেন, আমরা ৮ হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন পয়েন্টে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছি। রাস্তা চিনিয়ে দিচ্ছি পাশাপাশি যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছি। এতে করে কোনও ধরনের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে না। ব্যাগ নিয়ে সন্দেহভাজন কেউ ঢুকছে দেখলে আমরা সেটাও চেক করছি।
কারও ব্যাগ চেক করার অনুমতি কীভাবে পেলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী বা সাধারণ কেউ নয়। সন্দেহ হয় এমন মানুষের ব্যাগ জাস্ট ওপর থেকে যতটুকু বোঝা যায় ততটুকুই দেখছি। কারও কোনও ভোগান্তি করছি না।
এদিকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের স্থাপনাটি ভাঙার পর সেখানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জামায়াতের সম্মেলন দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীরা অবাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করছেন। এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট ব্যবস্থা বা প্রবেশ সীমিত করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আমার বার্তা/জেএইচ