ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, সারাদেশে লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জুন ২০২৪, ১১:৪১

গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী উৎপাদন না বাড়ায় বেড়েছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে প্রায় ৮৫০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ওই সময় গড়ে প্রতিদিন ৭০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং করা হচ্ছে। আর এই লোডশেডিং বেশি হচ্ছে মধ্যরাতে। আর এই লোডশেডিংয়ের কারনে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বলছে, গ্যাস সংকটের কারনে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।

গরমে ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, গত কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিবারের। গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে। এ কারণে ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। গরমে আমরা খুব কষ্টে আছি। গ্রামাঞ্চলে প্রায় সারা দিনই থাকছে লোডশেডিং। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় থেমে থেমে লোডশেডিং, চলে রাতভর। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ থাক বা না থাক মাস শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল ধরিয়ে দিতে ভুল করে না বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক না থাকলেও বিল বেড়েই চলেছে। কলকারখানাগুলোও ঠিকমতো উৎপাদন করতে পারছেনা।

বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা ও উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় সারা দেশে বিতরণ কোম্পানিগুলোকেই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ছিলেন, যা মোট গ্রাহকের প্রায় ৫৮ শতাংশ। ঘূর্ণিঝড়ের পর সংযোগ স্বাভাবিক হতে থাকলে চাহিদাও বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের কারণে আরো বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বরাবরই বিতরণ কোম্পানিগুলোকে সমন্বয় বা লোডশেডিং করে চলতে হয়। সাড়ে তিন-চার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিংও করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে বিদ্যুতে যে পরিমাণ ঘাটতি হচ্ছে, সেটি মূলত গ্যাস সংকট ও বিতরণ ব্যবস্থা অনেক পুরনো হওয়ার কারণে হচ্ছে। তবে অন্য জ¦ালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিপিডিবি। সূত্র জানায়, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনে যে পরিমাণ ঘাটতি দেখানো হচ্ছে, তা বিতরণ কোম্পানিগুলোর হিসাবের চেয়ে অনেক কম।

দেশের সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি)। আরইবিতে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে এক-দেড় হাজার মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুতের বাইরে রাজধানীর দুই বিতরণ কোম্পানি হলো ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পান লিমিটেড (ডেসকো)। এ দুই বিতরণ কোম্পানির গ্রাহকরাও লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে। তবে লোডশেডিং বড় আকারে না হলেও মধ্যরাত ও ভোরে হচ্ছে। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট পরিস্থিতি আরো অসহনীয় করে তুলছে। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াট। গড় চাহিদা সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গ্যাসের অভাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্ধেক সক্ষমতা বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে জ¦ালানি তেলের উচ্চ মূল্য ও ডলার সংকটের কারণে সেখান থেকেও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। সময়মতো বিল পরিশোধ না করায় কমে গেছে আমদানীকৃত বিদ্যুতের পরিমাণও।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্যানুযায়ী দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১২ হাজার ২১৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে সর্বোচ্চ ছয় হাজার মেগাওয়াট। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ৬ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট। সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট। তরল জ¦ালানির সক্ষমতা ছয় হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা থাকলেও গড়ে সেখানে থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ¦ালানি থেকে আসছে গড়ে ৫০০ মেগাওয়াট। এক হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে।

এদিকে বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে বিপিডিবির সদস্য (বিতরণ) রেজাউল করিম আমার বার্তাকে জানান, বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে। সেটি গ্যাসের কারণে। গ্যাসভিত্তিক দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন আগে থেকেই ঘাটতি রয়েছে পিডিবির। আগে যেখানে গ্যাস থেকে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত, সেখানে এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। এর বাইরে ময়মনসিংহ ও রংপুরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তবে সেটি খুব বেশি নয়। সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আমার বার্তা/জেএইচ

রাজধানীতে অবৈধ সীসা বারে সয়লাব

* সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মদদে বিস্তার ঘটে বারের * তারকা হোটেল আমারিতে মাসুদ রানার তত্বাবধানে শীশা বারের

জুজুর ভয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মীরা

* চলছে বদলি, আর্থিক সুবিধা আদায় এবং রাজনৈতিক রং লাগানোর পাঁয়তারা রাজনৈতিক পটপরিবর্তন তথা ছাত্র-জনতার অভুত্থানের

বঙ্গবন্ধু পরিষদের নিয়ন্ত্রণে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর

# বদলি থেকে পদায়ন, সবই হয় তাদের ইশারায় # বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা পান ‘প্রাইস পোস্টিং’, ছড়ি

শাহজালালে আশীর্বাদপুষ্টরা বহাল তবিয়তে

# মন্ত্রণালয়কে অন্ধকারে রেখে বিজ্ঞাপনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা # অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে তিন হাজার বর্গফুট ইজারা নিয়ে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সংসদে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত নারী আসন চায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি

নির্বাচন নিয়ে ভেতরে ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: রিজভী

পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বিসিবি

গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের দাফন-সৎকার সম্পন্ন, হয়নি ময়নাতদন্ত

গোপালগঞ্জকে আওয়ামী সন্ত্রাসী মুক্ত করতে চাই: নাহিদ ইসলাম

হাসিনার উপদেষ্টার ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

পঞ্চগড়ে সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই জনবল নেবে বিকাশ

তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন নাগরিকরা

পেয়ারায় রয়েছে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

চকরিয়ার পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণকারী সেই চোর গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভিডিওকে গোপালগঞ্জের বলে পোস্ট করলেন জয়

দশ সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছে বাংলা প্রেসক্লাব আয়ারল্যান্ডের

প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর ১১-১৩ আগস্ট

গোপালগঞ্জে হামলার নেপথ্যদেরও ছাড় নয়: ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি

বাংলাদেশে মুজিববাদীদের ঠাঁই হবে না: নাসীরুদ্দীন

ঢাকা বোর্ডের সামনে আজও এসএসসিতে ফেল করাদের বিক্ষোভ